• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Up

রাজ্য

জমি বিবাদের মিমাংসা চলাকালীন ধুন্ধুমার, তৃণমূল বিধায়কের অফিসেই এই কান্ড!

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা ও উত্তেজনায় ধুন্ধুৃমার কান্ড মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। এই ঘটনায় জখম একাধিক।শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে খোদ জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের কার্যালয়ে। জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে মীমাংসা বৈঠক চলছিল। আর তখনই তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও মারপিট হয়। এতেই একাধিক আহত হয়। জখমদের মধ্যে রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের রানীনগর অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খাইরুল ইসলামের ছেলেও রয়েছে।জানা গিয়েছে, একটি জায়গা রেকর্ড করা নিয়ে দফরপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মঞ্জুর আলির লোকজনের সঙ্গে রানীনগর অঞ্চলের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খাইরুল ইসলামের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। শুক্রবার সেই বিবাদের মিমাংসা করার জন্য রঘুনাথগঞ্জে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের কার্যালয়ে এসেছিল উভয়পক্ষ।আর সেখানে এসেই উভয় পক্ষের বচসা বেধে যায়। এরপর শুরু হয় হাতাহাতি, মারপিট।লোহার রড দিয়েও মারধর চলে বলে অভিযোগ। উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জুন ০৬, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন থেকে সুপ্রিম কোর্টের ডিএ নির্দেশ, কি বললেন সুকান্ত মজুমদার?

নিউটাউন বাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।গতকাল বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষকদের আন্দোলনে অশান্তিগতকাল রাতে যে বর্বরোচিত আচরণ শিক্ষক সমাজের উপর হয়েছে সেটা এর আগে অন্য কোনো রাজ্যে দেখা যায়নি এটা লজ্জার এরাজ্যের। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করা উচিত। গতকালের বিকাশ ভবন এর ঘটনা নিয়ে পুলিশের বক্তব্যযে ছবি গতকাল দেখা গিয়েছে সেটা যদি পুলিশের সংযম এর ছবি হয় তাহলে এই পুলিশ কতটা হিংস্র ভেবে দেখুন। একদিন রাজ্যের সব শিক্ষক কাজ বন্ধ করে এর প্রতিবাদ করা উচিত। পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনে লাঠি পেটা করে এই শিক্ষকদের যোগ্য চাকরির আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গতকাল সব্যসাচী দত্ত বিকাশ ভবনসব্যসাচী দত্ত কে পাঠানো হয়েছিল গুন্ডামি করানোর জন্য। এরা পুলিশ নয় তো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থা তো এত খারাপ নয় যে হাফ প্যান্ট পরে পুলিশকে ঘুরতে হবে। শিক্ষকদের আন্দোলন বিকাশ ভবনেআসল লোক বসে আছে নবান্ন এ। তাকে প্যাঁচে ফেলুন। রাজ্য সরকার বারবার শিক্ষকদের ললি পপ দিয়ে বোকা বানিয়েছেন। গতকাল বিকাশ ভবনে সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ আটকে থাকাগতকাল বিকাশ ভবনে যদি সাধারণ মানুষ বা সরকারি কর্মচারী আটকে থাকে তাহলে পুলিশের উচিত ছিল বুঝিয়ে বলা। আর মনে হয় না আমার যে কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা কোনো গর্ভবতী মহিলাকে আটকে রেখে হেনস্থা করবে বললে। সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশ ডিএ নিয়েসুপ্রিম কোর্ট প্রথম নির্দেশ দিয়েছিলেন ৫০% ডিএ মেটানোর কথা ।কিন্তু পরে আজ বলা হয়েছে কোর্টের তরফে ২৫% ডিএ মেটানোর জন্য। তবে এই বকেয়া ডিএ পুরোটা মেটানো উচিত। রাজ্য সরকার এই রাজ্যকে ভিখিরিতে পরিণত করেছে।কোর্টের এই রায় কে স্বাগত জানাই। সরকার যদি চুরি না করত তাহলে এই হাল হতো না রাজ্যের। মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে রিপোর্ট পেশযদি পূর্ব পরিকল্পিত হয় তাহলে রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারেনি কেন? তাহলে ব্যর্থতা কার। ব্যর্থতার দায় কে নেবে মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি পুলিশ নাকি অন্য কেউ। দায় নিতে হবে সরকাকে।

মে ১৬, ২০২৫
রাজ্য

বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভার, সাময়িক সুরাহা, চাকরিহারা শিক্ষা কর্মীদের জন্য মাসিক ভাতা ঘোষণা মমতার

পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি একটি নতুন ভাতা প্রকল্প চালু করেছে, যার মাধ্যমে চাকরি হারানো গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এই সিদ্ধান্তটি ২০২৫ সালের ১৪ মে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছে।এই প্রকল্পের নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড এন্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টেরিম স্কিম (West Bengal Livelihood and Social Security Interim Scheme),ভাতা পরিমাণ:গ্রুপ সি কর্মীদের জন্য মাসিক ₹২৫,০০০, গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য মাসিক ₹২০,০০০, এই স্কিম কার্যকরের তারিখ ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এবং এই প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করবে রাজ্য শ্রম দফতরের।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছেন এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো ২৫,৭৫২ জন স্কুল কর্মচারীর আর্থিক দুর্দশা লাঘব করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, এই ভাতা প্রদান চলবে যতদিন না পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের নিষ্পত্তি হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই উদ্যোগটি মানবিকতার দিক বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে, যাতে চাকরি হারানো কর্মীরা তাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।যদিও অনেক কর্মী এই ভাতা পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন, তবুও তাদের মূল দাবি চাকরিতে পুনর্বহাল হওয়া। একজন প্রাক্তন কর্মী কৌশিক রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ভাতা সমাধান নয়। আমি মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের প্রশংসা করি, তবে আমরা চাই আমাদের চাকরি ফিরে আসুক।তৃণমূল কর্মী সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা চাকরি হারানো কর্মীদের পাশে রয়েছে এবং তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মে ১৫, ২০২৫
দেশ

ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখতে সুপ্রিম কোর্টের কড়া বার্তা! গাইডলাইন তৈরির জন্য দু’মাস সময়সীমা বেঁধে দিল আদালত

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট, সম্প্রতি দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে যে, ফুটপাথ বা পথচারি চলাচলের পথ যেন কোনোভাবেই দখল না হয়। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত শুধু অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি, বরং নাগরিক অধিকারের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়েছে।রায়ের মূল নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে:প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতে হবে, যা ফুটপাথ ব্যবস্থাপনা ও হকার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।স্থানীয় প্রশাসন, বিশেষ করে পুরসভা ও নগর উন্নয়ন সংস্থাগুলিকে সক্রিয় হয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে হবে, যাতে জীবিকার অধিকার ও পথচারি অধিকারের মধ্যে সুষম ভারসাম্য বজায় থাকে।কেন এই রায় গুরুত্বপূর্ণ?১. সাধারণ মানুষের অধিকারের স্বীকৃতিফুটপাথ মূলত পথচারীদের জন্য। কিন্তু দেশের বহু শহরে ফুটপাথ দখল হয়ে যায় দোকান, হকার বা নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা। এর ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় এই রাইট টু মোভমেন্ট বা চলাচলের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।২. হকারদের জীবিকা বনাম জনসাধারণের সুবিধাহকাররা দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে হকারদের অনিয়ন্ত্রিত বসতি শহরের অবকাঠামোকে সংকুচিত করে। আদালত এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সমাধান চেয়েছেহকারদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান, এবং পথচারীদের জন্য মুক্ত রাস্তা।৩. শহরের পরিকল্পিত উন্নয়নফুটপাথ দখল মুক্ত হলে শহরের সৌন্দর্য, যানবাহন চলাচল এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হবে। এটি নগর উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত।চ্যালেঞ্জ ও করণীয়অনেকেরই ধারণা রাজ্য সরকারগুলির নিষ্ক্রিয়তা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে। অনেক রাজ্যে এখনও হকারদের রেজিস্ট্রেশন বা স্থান নির্ধারণের নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা নেই।অনেকে মনে করেন স্থানীয় রাজনীতি এবং ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবেও হকার ইস্যু ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যার ফলে প্রশাসনের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়।বিশিষ্ট সমাজকর্মীদের আনেকের মতে, এই সমস্যার সমাধান হতে পারে একটি জাতীয় পর্যায়ের গাইডলাইন দিয়েই, যাতে সব রাজ্য তার ভিত্তিতে স্থানীয় নিয়মনীতি তৈরি করতে পারে।তাঁরা মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শহুরে পরিকাঠামো, নাগরিক অধিকার এবং জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার এক বাস্তবসম্মত চেষ্টার প্রতিফলন। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যদি রাজ্য সরকারগুলি আন্তরিক হয়, তবে ভারতের শহরগুলো আরও বাসযোগ্য, সুশৃঙ্খল ও মানবিক হয়ে উঠতে পারে।

মে ১৪, ২০২৫
দেশ

পাহেলগাঁওয়ের ঘটনায় বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া সন্ত্রাসবাদীদের বাড়ি

কাশ্মীরে পাহেলগাঁও হামলার পর নানা জায়গায় অভিযান শুরু করেছে সেনা। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে পাঁচটি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। যা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতে পুলওয়ামা, শোপিয়ান এবং কুলগাম জেলার তিনটি বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। আহসান উল হক শেইখ, শাহিদ আহমদ কুট্টে এবং জাকির আহমদ গানি পরিচিত ছিলেন তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য, যার মধ্যে লস্কর-এ-তইবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে। বিজবেহারা ও ট্রাল এলাকায় অন্যান্য সন্দেহভাজনদের বাড়িতে বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল। ওই বাড়িগুলির কাছ থেকে সাধারণ মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল{ এর কিছু সময় পরেই বিস্ফোরণ ঘটে।

এপ্রিল ২৬, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল, হাজার হাজার চাকরি গেল

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যাদের চাকরি বাতিল হল তাদের একাংশের বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হবে। রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অবৈধ শিক্ষকদের বেতনের টাকা ফেরতেরও নির্দেশ। নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে যাঁরা অন্য সরকারি দফতর থেকে এসএসসি-র শিক্ষকতার চাকরিতে এসেছিলেন, তাঁরা চাইলে তাঁদের পুরনো চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই প্রক্রিয়াও আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে বলে স্পষ্ট করেছে সর্বোচ্চ আদালত।

এপ্রিল ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান আদালতের মহিলা আইনজীবীকে মারধরে অভিযুক্ত গ্রেফতার, পুলিশ পরিচয় কেন দিয়েছিল?

বর্ধমান আদালতে বুধবার আইনজীবীরা কর্মবিরতি করে। তাঁদের দাবি ছিল, মহিলা আইনজীবীকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। তার জন্য় ৭২ ঘন্টা সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব। অবশেষে এদিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিযোগ, শুধু মহিলা আইনজীবীকে মারধর নয়, তাঁর পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করে দিয়েছে ওই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রোহিত দাস ওরফে রাজীব। বর্ধমান থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে শক্তিগড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত রোহিতকে গ্রেপ্তার করে। শক্তিগড় থানার অন্তর্গত গাংপুর দিঘিরপাড় এলাকায় ধৃতের বাড়ি। ধৃতের ভাই হাওড়া জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। রোহিতের ব্যবহার করা মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করলে বিচারক তাকে ৩ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ধমান থানাও এই ঘটনায় ওই মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের বক্তব্য়, দুই তরফ থেকেই অভিযোগ হয়েছিল। তাই প্রথমিক পর্যায়ে একটু খতিয়ে দেখতে হয়েছে।মহিলা আইনজীবীর পেটের সন্তান লাথি মেরে নষ্ট করে দিয়েছে অভিযুক্ত, এই অভিযোগ সামনে আসতে চারিদিকে ছিঃছিঃ রব ওঠে। সমস্ত ক্ষেত্র থেকে তাকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। সরাসরি আন্দোলনে নেমে পড়ে বর্ধমান আদালতের আইনজীবীরা।

মার্চ ১৯, ২০২৫
রাজ্য

পুলিশ পরিচয়ে পেটে লাথি, মারধর, অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীর গর্ভপাত, বর্ধমানের ঘটনায় তোলপাড় বাংলা

বর্ধমান আদালতের এক অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, মারধর করা ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়েছে। তারপর বর্ধমান থানা তখন অভিযোগ তো নেয়নি, বরং ওই মহিলা আইনজীবীকে বারে বারে ফিরিয়ে দিয়েছে। মারধরের ফলে অন্তঃসত্ত্বা আইনীজীবীর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে বলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পর্যায়ের চিকিৎসা পর্যন্ত করেনি পুলিশে অভিযোগ হয়নি বলে। বর্ধমান শহরের এই ঘটনায় তোলপাড় সারা বাংলা। বর্ধমান শহরে বিগবাজারের কাছে জেলখানা মোড়ে স্বামীর বাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন ওই আইনজীবী। পথে অপরদিক থেকে আসা একটা বাইকে জোরে চালানোয় ধাক্কা লাগে। তখন ওই মহিলা আইনজীবী আস্তে চালানোর জন্য় অপর বাইক চালককে অনুরোধ করে। এই নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরই নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা আইনজীবীকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। তাঁর পেটে লাথি মারে বলে অভিযোগ। এরফলে তাঁর গর্ভপাত হয়। ব্যাপক ব্লিডিং হয়। তারপর সেখান থেকে থানায় গেলে থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার বলে ওই আইনজীবী দাবি করে। এদিকে অভিযোগ না নিয়ে মহিলা আইনজীবীকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে দায় সারে বর্ধমান থানা। আবার হাসপাতালও পুলিসের কাছ থেকে লিখিত কিছু না পেলে চিকিৎসা করবে না বলে আইনজীবীকে ফিরিয়ে দেয়। ফের তিনি থানায় আসে। দোলে অফিসার কম আছে বলে ফের তাঁকে থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তারপর বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তাকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে আজ, বুধবার আদালতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন। সিদ্ধান্তের কথা তাঁদের পক্ষ থেকে জেলা জজকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।জেলা জজকে লেখা চিঠিতে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা জানিয়েছেন, বারের এক মহিলা সদস্যার উপর গত ১৫ মার্চ হামলা চালানো হয়। তাঁকে এবং পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়। মারধরে জড়িতের এক আত্মীয় পুলিস অফিসার। সে কারণে বর্ধমান থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। নানাভাবে থানা মহিলা আইনজীবীকে হেনস্থা করে। এমনকি তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। মারধরের ফলে মহিলা আইনজীবীর গর্ভপাত হয়ে যায়। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা বুধবার কোনও কাজ করবেন না। বিচার প্রক্রিয়াতেও অংশ নেবেন না।

মার্চ ১৯, ২০২৫
রাজ্য

প্রাক্তন সিবিআই অফিসার উপেন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখালো বেশ কিছু আইনজীবী।

আইনজীবীদের দাবী.......আমাদের আন্দোলনের তিনটে ইস্যু এবং সোসাইটিকে একটি বার্তা দিতে চাই যে ওপেন বিশ্বাস আমাদের কাছে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের আইকন বলে আমরা মনে করতাম। কিন্তু দিনের শেষে যেটা উপলব্ধি করলাম দীর্ঘদিন উনি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মন্ত্রী থাকাকালীন, উনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য কোন কাজ করেননি। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের লোকেদের উনি ব্যবহার করে খির খেয়েছেন বাড়ি বসে। তিনি ফোন ধরেন না দেখা করতে এলে দেখা করেন না। কিন্তু মহান ভগবতকে বাড়িতে ডেকে ভুরিভোজ খাওয়াচ্ছেন। পরবর্তীকালে প্রত্যেকটা লোক যারা ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের নাম করে ক্ষীর খাচ্ছেন তাদের প্রত্যেকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মিছিল হবে।

মার্চ ০২, ২০২৫
কলকাতা

রণক্ষেত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুর, জখম ছাত্র-অধ্যাপক

হুলস্থুল কাণ্ড যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, শিক্ষা মন্ত্রীর গাড়ির চাকার হওয়া খুলে দিল ছাত্রছাত্রীরা একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আটকে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বাম ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তুমুল ধস্তাধস্তি চলে। ক্যাম্পাসের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলতা। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। মূলত, ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ভাষণ চলাকালীন সেখানে ঢুকে পড়ে বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। তারপর চেয়ার ভাঙচুর, ধাক্কাধাক্কির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অধ্যাপকদের অনেকেই বলে অভিযোগ। ব্রাত্যের গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। চোর-চোর এবং গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। মন্ত্রীর গাড়ির বেনেটেও উঠে পড়ে ছাত্ররা। ওয়েবকুপার বার্ষিক সভা শুরুর আগে ছাত্র ভোট চেয়ে সভাগৃহের বাইরে এসএফআইয়ের সদস্যরা হোর্ডিং, পোস্টার টাঙিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি জানাতে থাকেন। এরপরই ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির জন্য টিএমসিপি (TMCP) প্রতিবাদ করতেই দুই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তিন নাম্বার গেট দিয়ে ওয়েব কুপার মিটিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীকে। ছাত্র বিক্ষোভে আটকে থাকা অবস্থায় ব্রাত্য বসু বলেন, এটাই হচ্ছে এই সব (বাম-অতিবাম) ছাত্র সংগঠনের গণতন্ত্র। এরাই রাস্তায় নেমে অসভ্যতা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধৈর্যে বিশ্বাস করেন। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। আমরা সহিষ্ণুতার পাঠ জানি। আমি ওদের বললাম আপনারা দুজন আসুন। ওরা বলল চল্লইস জন যাব। আর এতজন মিলে কথা হয়। এরপরই ওরা বাধা দেয়। আমাদের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে যাতে পুলিশ ডাকি। কিন্তু সেটা করব না।দুপক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় বেশ কয়েকজন পড়ুয়া ও অধ্যাপক আহত হয়েছেন বলেই খবর। এদিকে বৈঠক ছেড়ে বেরোনোর সময় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ির কাঁচ। যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড-এ অবস্থান SFI-এর। এদিকে গোটা ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেঁড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ আজকের হামলাকে প্রাণঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক পোস্টে লিখেছেন, তৃণমূলের সৌজন্য মানে দুর্বলতা নয়। গায়ে হাত দেবে কেন? শাসক বলে সংযত নিশ্চয় থাকা উচিত। কিন্তু বাঁদরামি সীমা পার করলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া উচিত।

মার্চ ০১, ২০২৫
রাজ্য

পদ্মশ্রী তালিকায় বাংলার ৯ জন, রয়েছেন অরিজিৎ সিং, মমতা শঙ্কর, তেজেন্দ্র নারায়ণ

পদ্মশ্রী প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৯ জন পদ্মশ্রী পুরস্কার পেতে চলেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকার পদ্ম পুরস্কার ২০২৫ প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছে। তালিকা অনুসারে ৭ জনকে পদ্মবিভূষণ, ১১৩ জনকে পদ্মশ্রী এবং ১৯ জনকে পদ্মভূষণ প্রদান করা হয়েছে। মোট ১৩৯ জন ব্যক্তিত্বকে পদ্ম পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানগুলির মধ্যে একটি, যা তিনটি বিভাগে দেওয়া হয় -পদ্ম বিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী।শিল্প ক্ষেত্রে এরাজ্য থেকে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন, অরিজিৎ সিং, গোকুল চন্দ্র দাস, তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার ও মমতা শঙ্কর। সাহিত্য ও শিক্ষায় নগেন্দ্র নাথ রায়, শিল্প ও বানিজ্যে পবন গোয়েঙ্কা ও সজ্জন ভজনকা। আধ্যাত্মবাদে স্বামী প্রদীপানন্দ (কার্তিক মহারাজ), সমাজকর্মে বিনায়ক লোহানী।আগামী মার্চ বা এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দিকপালদের হাতে পদ্ম পুরষ্কার তুলে দেবেন।

জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
রাজনীতি

প্রকাশ্যে বাগযুদ্ধ জড়ালেন বাবুল সুপ্রিয় ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যানজটে জেরবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু

সাধারণের সামনে প্রকাশ্যে রাস্তায় রীতিমতো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় এবং বিজেপির তমলুকের সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর অভিযোগ, পিছনের দিক থেকে যাচ্ছিল বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। গাড়িটি একনাগাড়ে হর্ন দিচ্ছিল ও দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। বাবুল গাড়ি থেকে মুখ বের করে আপত্তি জানান। এরপরেই গাড়ি থামিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাকে কটু কথা বলতে শুরু করে দেন বলে দাবি বাবুল সুপ্রিয়র। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বচসার এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে এই ঘটনা ঘটে। হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন অভিজিৎ। ওই একই সময়ে বাবুলও দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদের মধ্যে ঝামেলায় যানজট তৈরি হয় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। বাবুলের দাবি, নিয়ম ভেঙে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল অভিজিতের গাড়ি। প্রতিবাদ জানানোয় গাড়ি থেকেই অভিজিৎ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। ভাইরাল ভিডিওতে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানাতে থাকেন বাবুল সুপ্রিয়। অভিজিতের নিরাপত্তারক্ষীরা বাবুলকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।মন্ত্রী ও সাংসদের বচসার সময় ভিড় জমে যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। তবে বিজেপি সাংসদকে বার বার গাড়ি থেকে নামতে বলেন বাবুল, তবু তিনি গাড়িতে বসেছিলেন। বাবুলও বলে চলেন, ক্ষমা না চাইলে অভিজিতের গাড়ি যেতে দেবেন না। বাবুল জানান, কানের কাছে লাগাতার সাইরেন বাজাচ্ছিল অভিজিতবাবুর গাড়ি। গোটা রাস্তা স্কুটার, বাইক দেখে তীব্র হর্ন বাজাতে বাজাতে যাচ্ছিল অভিজিতের গাড়ি। এক মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা হয়।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৫
রাজ্য

আবাস এর আভাস! দূর্নীতি নিয়ে কি বার্তা দিচ্ছে?

ভোট এলেই দেশ জুড়ে চর্চায় আসে রোটি, কাপড়া ওর মকান। শুধু ভাত কাপড় নয়। সঙ্গে থাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর বাসস্থান। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এর অন্য তাৎপর্য রয়েছে। শিক্ষা আর স্বাস্থ্য আগেই রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে মধ্যমনি হয়ে বসেছে। এবার এই দুটির পাশে জায়গা নিয়েছে বাসস্থান। এই মুহূর্তে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের বুলডোজার বিচার নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়ে বড় জায়গা নিয়েছে বাসস্থান। পশ্চিমবঙ্গে আলোড়ন উঠেছে আবাস যোজনায় দূর্নীতি নিয়ে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণে বড় বড় দূর্নীতির তথ্য প্রমাণ সামনে আসতে শুরু করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের মতন ই এই ক্ষেত্রেও তার ই সঙ্গে সংঘর্ষ, হুমকি, নির্যাতন সব ই রয়েছে। অর্থাৎ, তিন ক্ষেত্রেই চিত্র নাট্যে মিল রয়েছে। পুরুলিয়া, বীরভূম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ক্ষোভ বিক্ষোভের খবরের পাশেই রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। তৃনমূলের এই শক্ত ঘাঁটিতেও পরিস্থিতি খুব ই উত্তপ্ত। এই ক্ষোভের আঁচের মধ্যে তৃনমূলের সমর্থক বা কর্মী বলে পরিচিতরা ও রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ নিয়ম মতে যাদের পাওয়ার কথা তারা বাদ পড়েছেন। যোজনার তালিকায় ঢুকে পড়েছে ভুয়ো নাম। শুধু তাই নয় একই নামে একাধিকবার টাকা পাওয়ার তথ্য ও উঠে এসেছে। তবে এই সব অভিযোগ তো বরফশীলার চূড়া মাত্র। দরিদ্র মানুষকে ঘর পেতে কাটমানি দিতে বাধ্য করা। ঘর পেতে হলে বিভিন্ন খাতে অর্থ দিতে বাধ্য করার পাশাপাশি রয়েছে অসাক্ষর প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বদলে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা আনিয়ে পকেটস্থ করা। আর্থিক নয় ছয়ের পরিমাণ এতটাই বেশি যে আদালতে রাজ্য সরকার ও অনিয়ম হয়েছে বলে মেনে নিয়েছে। দূর্নীতির বিষয়ে রাজ্য সরকার যে রিপোর্ট দিয়েছে তা দেখেই আদালত সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ও বিডিওদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে। পরিস্থিতিতে এবার নতুন মোড় এনেছে প্রতিবাদের চেহারা। শুধু গ্ৰামবাসীরাই নয় দলীয় নেতা, কর্মী ও প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃনমূলের ই একাংশ।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দূর্নীতির অভিযোগ কেন্দ্র অর্থ দেওয়া বন্ধ করলে রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল নির্বাচনের আগে এসব অভিযোগ আসলে ভোট পাওয়ার কৌশল। কেন্দ্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য নিজস্ব আবাস যোজনা ঘোষণা করেছিল। প্রতিটি প্রাপককে তিন লপ্তে মোট এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে ওই ঘোষণায় । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই যোজনায় ভুরি ভুরি দূর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। সরকারি প্রকল্প বা সরকারি যোজনা মানেই যেন উদোর অর্থ বুদোর পকেটে যাওয়ার অভিযোগ উঠবেই। সামাজিক ন্যায়ের নটে গাছটি মুড়িয়ে দিতে কাটমানি সংস্কৃতির বিষ যেন সর্বগামী। অর্থ লিপ্সার জালে আবদ্ধ পশ্চিম বঙ্গের দরিদ্র গ্ৰামীন সমাজ

নভেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী ঘিরে ভাতারে বিশৃঙ্খলা, কোনওরকমে সামলালেন বিধায়ক

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি। গন্ডগোলের রেশ গড়িয়েছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য় সড়কে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিজয়ার অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অশান্তি ও দ্বন্দ্বে চলতে থাকে বিশৃঙ্খলা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হয়ে যান। নিজে পথে নেমে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। শেষমেশ ভাতার হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কোনওপ্রকারে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উত্তেজনা চলতেই থাকে। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ অশোকবাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চের আশপাশে কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মঞ্চে অশান্তি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করে দিতে বাধ্য হন নেতারা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি অবশ্য বিধায়ক এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতারে দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরার সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোকবাবুর প্রভাব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরের কিছু সমস্যা এমনিতেই চলছিল। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও অশোক হাজরার দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
দেশ

ন্যায় দেবীর চোখ এখন খোলা, দাঁড়িপাল্লা রয়েছে তবে বাঁ হাতে তরবারি নয়

চোখ থেকে খুলে গেল কাপড়ের পট্টি। ন্যায় দেবীর চোখ এখন খোলা, সজাগ। ডান হাতে দাঁড়িপাল্লা রয়েছে তবে বাঁ হাতে তরবারি নয়, রয়েছে সংবিধান। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের গ্ৰন্থাগারে বসানো হয়েছে এই নতুন মুর্তি। এর পরেই ন্যায়ের বন্ধ চোখ খুলে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। এর ই পাশাপাশি উঠছে প্রশ্ন ন্যায়ের বন্ধ চোখ তো খুলল, এবার কি শাসকের চোখ খুলবে?বিভিন্ন সুত্র বলছে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় মনে করেন, আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু আইনের চোখে কখনও বন্ধ থাকে না।পাশাপাশি তার মত, আইন মানে শুধু ই শাস্তি নয়। তাই প্রধান বিচারপতির ভাবনা সুত্র ধরে মুর্তির হাতে তরবারির বদলে এসেছে সংবিধান। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় যেমন এই বইটির প্রসঙ্গ এসেছে ঠিক, তেমন ই সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে ও শাসক বিরোধীর ন্যারেটিভের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দেশের সংবিধান। উপনিবেশ আমলের প্রাচীন মূর্তির উৎস ইতিহাসের ধুসর পথে। প্রধান বিচারপতি মনে করছেন, সেই পথেই থেমে না থেকে এখন সামনে এগিয়ে চলার সময়। কিন্তু আমাদের মত সাধারনের অভিজ্ঞতা হলো দেশদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহের শঙ্কা জাগিয়ে সেই ঔপনিবেশিক আমলের বাতাবরণ বজায় রাখাই পছন্দ সব রঙের শাসকের।বর্তমান সময় বলছে, শাসকের সমালোচনা করা, তুলি, কলম বা তর্জনীর দাসত্ব মানতে না চাওয়া এ সবই ভয়ঙ্কর অপরাধ। মেরুদণ্ড সমান রাখা এই শ্রেণী শাসকের চোখে লঙ্কা গুঁড়োর মতো অসহ্য। অতএব , আইনের মারপ্যাঁচ আর নিগড় কঠিন করে কারাগারে ভরো। খুব দূরে যেতে হবে না, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনা, দলিত মাহার সম্প্রদায়ের এই প্রাচীন অনুষ্ঠানে ও প্রতি স্পর্ধার ভূত দেখেছিল শাসক। তাই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কয়েকজন অধ্যাপক , সাংবাদিক ও সমাজসেবী কে গ্ৰেফতার করা হয়। অভিযোগ, তারা নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জানিনা এই অভিযোগ তুলে আইনের রক্ষকদেরও বন্ধ দরজার ওপারে হাসি পেয়েছিল কিনা। তবে তাদের আসল অপরাধ হলো খাদ্য,বস্ত্র, ও বাসস্থানের অভাবে যে বিপুল ভারতবাসীর পেট আর পিঠ এক হয়ে গিয়েছে তাদের দিন বদলের স্বপ্ন দেখা। বিদেশি সংবাদপত্র উদ্ধৃত করে দেশের সব প্রথম সারির সংবাদ পত্রে লেখা হয়েছিল ইজরায়েলি সংস্থার তৈরি পেগাসাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে আইনের চোখে অপরাধ যোগ্য তথ্যের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছিল। এই প্রযুক্তি রাষ্ট্র ছাড়া আর কোনো পক্ষকে বিক্রি করা হয় না। দীর্ঘ সময় কারাবন্দী থাকার পরে শাসক পক্ষের অভিযোগ দূর্বল ঠেকায় শীর্ষ আদালতের রায়ে একে একে শর্ত সাপেক্ষ জামিন পান অভিযুক্তরা। তবে, এই সৌভাগ্য হয়নি ঝাড়খণ্ডের অবহেলিত আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ানো সমাজসেবী ফাদার স্ট্যান স্বামীর। দুরূহ রোগে আক্রান্ত এই বৃদ্ধ সীমাহীন লাঞ্ছনায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিহার জেলে। সামাজিক ন্যায় ও মুক্তচিন্তার এই পুজারীর দেখা হল না খোলা আকাশ আর ন্যায়ের মূর্তির খোলা চোখ। তবে দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার পরে খোলা আকাশের নিচে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জি এন সাইবাবার। যদিও ন্যায়ের মূর্তির খোলা চোখ দেখে যাওয়া হলো না তাঁর। ভীমা কোরেগাঁও কান্ড থেকে যে শব্দ বন্ধের জন্য সেই আরবান নকশাল তকমা নিয়ে জেল বন্দি হন এই অতি বিদ্বান মানুষ টি। Wheel chair ছাড়া চলাফেরা করা সম্ভব ছিল না সাইবাবার। তাঁকে কাছ থেকে যারা দেখেছেন তাঁদের মতে অগাধ পান্ডিত্য আর তীক্ষ্ণ মননের অধিকারী মানুষ টির মন ছেয়ে ছিল দেশের প্রান্তিক ও আদিবাসী মানুষের কল্যাণ চিন্তা। আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক বন্দি মুক্তির পক্ষে আর আদিবাসী দের জমিতে বহুজাতিক সংস্থার মৃগয়ার বিপক্ষে অবস্থান ছিল তাঁর। এই সবই রাষ্ট্রের চোখে দেশদ্রোহিতা। অতএব জেলেই ঠাঁই হয়েছিল সাইবাবার। আদালতের চৌকাঠ থেকে বারবার ফিরে এসেছে তাঁর জামিনের আবেদন। দীর্ঘ দিন জেলের মধ্যে সঠিক চিকিৎসার অভাব ও মানসিক নিপীড়নের কারণে অশক্ত শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের রায়ে সব অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেও নিরুপদ্রব যাপনের দিন ফুরিয়ে এসেছিল সাইবাবার। কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয় তাঁর। সাইবাবার মৃত্যু যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তা হল , এবার কি সময় হয় নি সাংবিধানিক অধিকার কোথায় কীভাবে কঠোর আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার ক্ষুন্ন হচ্ছে তা খুঁজে দেখার? এই কাজ তো বিচার ব্যবস্থা কেই করতে হবে। বিচারের দীর্ঘসুত্রতায় বিচার না পাওয়ার তো প্রখর হয়। মুক্তি পাওয়ার কিছু দিন পর এক সাক্ষাৎকারে সাইবাবা বলেছিলেন, দান্তে থেকে সলোমন রুশদি, ইউরোপ থেকে মিশরের সভ্যতা সবখানেই নরকের বর্ননা এবং ধারণা রয়েছে, আন্ডা সেল ঠিক সেই রকম ই নরক। সাইবাবাকে সব অভিযোগ থেকে মুক্ত করে বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, এক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতাই ধরা পড়েছে। এমনকি ৫৭ বছরের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ইউ এ পি এ লাগুর ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি মানা হয় নি বলেও মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত। এই রায়ে পৌঁছতে ১০ বছর সময় লেগেছে। ততদিন কুখ্যাত আন্ডাসেল যেখানে কুখ্যাত অপরাধী ও জঙ্গিদের রাখা হয় সেখানে থাকতে হয়েছিল শীর্ষ মস্তিষ্কের মানুষ টিকে।বর্তমানে দেশের কিছু নির্দিষ্ট গোষ্টীর খাওয়া পরা কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে নাগরিক হিসেবে অর্থনৈতিক কাজ বা সাধারণ জীবনযাপনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার। বি জে পি শাসিত কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের নানা নিয়ম ও আইন লাগু করার মধ্যে ই এই অশনি সংকেত রয়েছে। তবে, অ বিজেপি শাসিত পশ্চিম বঙ্গের অবস্থাও কি স্বস্তিকর? বোধহয় নয়। বছর খানেক আগের দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হয় ছাত্রনেতা উমর খালিদ কে। প্রায় তিন বছর ধরে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে চলেছে। জামিনের আবেদনের যথার্থতা বিচার করার কথা অসংখ্য বার বিচারপতিদের মুখে শোনা গিয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো ছবি। সাইবাবার অসময় মৃত্যু এবং ন্যায়ের মূর্তির আবরণ হীন চোখ কি বিচার ব্যবস্থার এই দীর্ঘসুত্রতা দূর করে উমর খালিদদের উপযুক্ত বিচার পাওয়ার সুযোগ করে দেবে? এর উত্তর সময় বলবে। আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে কলকাতা। প্রতিবাদ ছড়িয়েছে কলকাতা ছাড়িয়ে বিদেশের নানা প্রান্তে। এই ধর্ষণ ও খুন কলকাতাকে উন্নাও, কাঠুয়া, হাথরসের সঙ্গে এক আসনে বসিয়ে দিয়েছে। কলকাতাতেও প্রশাসনিক গাফিলতির সঙ্গে চোখে পড়ছে পুলিশ প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা। জামায় প্রতিবাদী উচ্চারণ থাকায় কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে গ্ৰেফতার করা হয়। প্রতিবাদী জমায়েতের ডাক দেওয়ায় পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হয় কয়েক জন তরুণীকে। শাসক বিরোধী ও আর জি করের বিচার চেয়ে শ্লোগান দেওয়ায় গ্ৰেফতার করা হয় কয়েকজন তরুণ কে। নানা ছুতো এবং নানা অছিলায় প্রতিবাদী জমায়েত আটকাতে তৎপর পুলিশ। তালিকা দীর্ঘ কিন্তু শাসকদের ছায়া এক। সংবিধান হাতে নতুন ন্যায়ের দেবী চোখ খুলেছেন এই অসময়ে! তবে কি সুসময় ফিরবে?

অক্টোবর ২১, ২০২৪
রাজ্য

অডিও ক্লিপ কাণ্ডে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য, সিপিএমের যুবনেতা কলতানের জামিন

অডিও ক্লিপ কাণ্ডে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সিপিএম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ শুনানির পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ বাম যুবনেতাকে ৫০০ টাকার বন্ডে জামিন দেয়। আদালতের নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সংক্রান্ত মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না। হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। এদিন আদালত পুলিশকে প্রশ্ন করে, ফোনে কথোপকথনের যে রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি কোথা থেকে পেল পুলিশ। কোথা থেকে এই অডিও রেকর্ডিং এল তা খোঁজ নিয়েছে কি পুলিশ। উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, কলতান না বলেননি। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানতে চান, যে পেনড্রাইভ পুলিশের কাছে এসেছে এবং যেখান থেকে এসেছে সেই সোর্সকে কি জেরা করা হয়েছে?বিচারপতি এদিন আরও প্রশ্ন করেন, কলতানকে গ্রেফতার করার আগেই একজন রাজনীতিবিদ (তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ) কী করে অডিও ক্লিপের বিষয়টি সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে একটানা ধরনা-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক্তারদের সেই ধরনায় হামলার ছক কষা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। রাজ্য সরকার ও শাসকদলকে অপদস্থ করতেই বিরোধীরা এই হামলার ছক কষেছিল বলে দাবি করেছিলেন কুণাল। সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা। কুণালের দাবি ছিল, ফোনের এক পাশে যিনি রয়েছেন তাঁর নামের প্রথম অক্ষর স, ফোনের অন্য পারে থাকা ব্যক্তির নামের প্রথম অক্ষর ক।কুণালের এমন বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা সঞ্জীব দাস নামে একজনকে। পরদিনই গ্রেফতার সিপিএমের যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত। DYFI-এর মুখপাত্রের সম্পাদক কলতান। কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য এই তরুণ নেতা।এদিন আদালতে রাজ্য জানায়, গত ৫ মাসে কলতান এবং সঞ্জীবের মধ্যে ১৭১ বার ফোনে কথা হয়েছে। ৬ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩৪ বার কথা হয়েছে। আদালতে রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, এই ঘটনায় কলতান কৃষ্ণ এবং সঞ্জীব অর্জুনের ভূমিকা পালন করেছেন। মাথা ফাটানোর প্রশ্নের উত্তরে না বলেননি কলতান। সাহেব, বাপ্পা এবং দাদুকে খুঁজে বের করে আরও জেরা করা প্রয়োজন।দুপক্ষের শুনানির পর এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। পরে কলতানকে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সংক্রান্ত মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
রাজ্য

বাংলায় বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিড়লা গোষ্ঠাীর কর্ণধারের

বাংলায় নয়া বিনিয়োগের সম্ভাবনা। এবার এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন আদিত্য় বিড়লা গ্রুপ। এরাজ্যে তাঁরা বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যেগ নিতে পারে। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লার। মুখ্যমন্ত্রী ছবি পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে এই কথা জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান মিঃ কুমার মঙ্গলম বিড়লা আজ(মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে আমার সাথে দেখা করলেন। এটি একটি সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। তিনি আমার সঙ্গে বাংলায় ব্যবসার সুযোগ এবং এখানে তাদের বিনিয়োগের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। সিমেন্ট এবং রং উৎপাদনের মতো বিভিন্ন খাতে তাদের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রয়েছে। তাঁরা শহরে একটি বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করছে এবং নতুন বিনিয়োগের জন্য তাদের অন্যান্য পরিকল্পনাও রয়েছে। আমরা সব আলোচনা করেছি এবং আমি তাকে আমাদের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছি।অভিজ্ঞ মহলের মতে, বিড়লা গোষ্ঠীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই আলোচনায় রাজ্যে বিনিয়োগ হতে পারে। তার ফলে কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

জুলাই ৩০, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

আন্তর্জাতিক হাঁটা প্রতিযোগিতায় বড় কীর্তি বাংলার গৃহবধূর, সংসার সামলে এমন সাফল্যে প্রশংসার ঝড়

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্কদের হাঁটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেলেন মালদার গৃহবধূ। সংসার সামলে সুপ্রিয়া দাসের এমন কীর্তিতে রীতিমতো প্রশংসার ঝড় বইছে মালদায়। এমনকি সুপ্রিয়াদেবীর আন্তর্জাতিক স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন মালদা জেলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা। এর আগেও হেঁটে একাধিক পদক জিতেছেন মালদার গৃহবধূ সুপ্রিয়া দাস। এবার বিশ্বসেরার খেতাব। দুই কিলোমিটার হেঁটে বিশ্বসেরা হলেন সুপ্রিয়াদেবী। তবে শুধুমাত্র হেঁটে নয়, পাশাপাশি রিলে দৌড় ও দৌড় প্রতিযোগিতাতেও একাধিক পদক জমিতেছেন সুপ্রিয়া দেবী। বাংলাদেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক প্রাপ্তবয়স্কদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মালদার সুপ্রিয়া দাস। তাঁর স্বামী রাজু দাস পেশায় পুলিশ কর্মী। ছোট বেলা থেকেই খেলাধুলায় বিশেষ আগ্রহ ছিল সুপ্রিয়া দাসের। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর তেমন খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সংসার সামলে প্রায় ১৪ বছর পর ২০২৩ সালে আবার শুরু করেন অনুশীলন। গত এক বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় একাধিক সাফল্য এসেছে। ইতিমধ্যে একাধিক পদক জিতেছেন তিনি।গত ২৭ ও ২৮ জুন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ভ্যাটেনারি অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। মালদার গৃহবধূ সুপ্রিয়া দাস জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সুবাদে সেখানে সুযোগ পান। দুই কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক পেয়ে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছেন মালদার এই গৃহবধূ। পাশাপাশি রিলে দৌড় ও দৌড় প্রতিযোগিতায় আরও চারটি পদক পেয়েছেন। দুটি দ্বিতীয় ও দুটিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। গত এক বছরে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি। সংসারের সমস্ত কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় পান মালদা শহরের পুলিশ লাইন মাঠ অথবা বৃন্দাবন ময়দানে অনুশীলন করেন সুপ্রিয়া দাস। নিজ প্রচেষ্টায় নিয়মিত অনুশীলন করেই প্রাপ্তবয়স্কদের এই অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় নেমে সাফল্য অর্জন করছেন তিনি। তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে জেলার ক্রীড়া প্রেমী মানুষেরা।

জুলাই ১৮, ২০২৪
দেশ

কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতা আইন, খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকাররে রিভিউ কমিটি

কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতা আইন নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই আইন খতিয়ে দেখে পর্যালোচনা করার জন্য নতুন রিভিউ কমিটি তৈরি করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে সাত সদস্যের এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, কমিটির শীর্ষে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়। প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ফৌজদারি বা অপরাধ সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থায় চালু হয়েছে নয়া তিন আইনের শাসন। ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসির বদলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা (বিএনএস), ফৌজদারি কার্যবিধি বা সিআরপিসি-র বদলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা(বিএনএসএস) এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বিএসএ) চালু হয়েছে গোটা দেশে। এই আইন প্রনয়ণ নিয়ে আগে বিতর্ক শুরু হয়েছিল।

জুলাই ১৮, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 32
  • 33
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal